বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে নদীর পানি কিছুটা কমলেও ধীরগতিতে নামছে লোকালয়ের পানি। আবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রামও। এদিকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে দুর্ভোগে বানভাসি মানুষজন।
অন্যদিকে কুমিল্লায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটে ত্রাণ সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বানভাসিদের।
নোয়াখালীতে জলযানের অভাবে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণসামগ্রী। সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও সদরের কিছু এলাকায় জলযানের অভাবে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। তবে মৌলভীবাজারে কমেছে নদ-নদীর পানি। যদিও এখনো ডুবে আছে শত শত বাড়িঘর। আর হবিগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন বেশিরভাগ মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ফেনী-কুমিল্লাসহ এসব এলাকার সব নদীর পানি কমছে। তবে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এসব এলাকার পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় প্লাবিত ১১ জেলায় এখনো পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি পরিবার। দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে কাজ করছে ৭শ’র বেশি মেডিকেল টিম।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor